বাসার সবচেয়ে ছোট সদস্যটির হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট! সারা ঘর যে চঞ্চলতায় মুখর করে রাখে, তাকে কষ্ট পেতে দেখে মা যেন আরও বেশি ছটফট করছে। এ সময় নেবুলাইজার যেন ভরসা। অথবা যাদের পরিবারে এজমা বা ফুসফুসের কোন অসুখে ভোগা রোগী আছে, তাদের জন্য নেবুলাইজার খুব পরিচিত একটি নাম।
অবশ্যই ব্যবহারের সময় নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে, নেবুলাইজারে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশসমহূ সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সঠিকভাবে সংযোজিত কিনা। ব্যবহারের আগে মাউথপিস ও মাস্ক গরম পানিতে ৩০ সেকেন্ড রেখে ধুয়ে নিন। এরপর বাতাসে এগুলো শুকিয়ে নিতে হবে।
ওষুধ প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে এটি যেন পরিপূর্ণভা র্ণ বে ড্রাই ও ক্লিন থাকে। নেবুলাইজ করার সময় রোগীকে আরামদায়কভাবে শোয়া বা আধ-শোয়া অবস্থায় রাখতে হবে। তবে বসেও করা যায়।
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনযায়ী নির্ধারিত ডোজ মেডিসিন কাপে দিয়ে সেফটি ক্যাপের সাহায্যে ঢেকে দিতে হবে। আধুনিক নেবুলাইজ রেগ্যুলেটর থাকায় স্পীড কমানো বা বাড়ানো যায়।
আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হবারও সিস্টেম আছে। মাউথপিস বা মাস্ক নির্ধারিত জায়গায় লাগিয়ে ব্যবহার করতে হয়।
ধীর গতিতে গভীরভাবে মাস্কের ভেতর থেকে শ্বাস নিতে হবে যা ছেড়ে দেয়ার আগে ২-৩সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। ৩-৬মিলি তরল ৫/১০মিনিটে নেবুলাইজ করা হয়। ওষুধের তারল্য, পরিমাণ, নেবুলাইজারের মোড এগুলোর উপর নির্ভর করে যে কত সময় লাগতে পারে।